শায়েখ আহমাদুল্লাহ ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ০২:০১ পি.এম
রমজান শেষে শাওয়াল মাসে যে কোন দিন অতিরিক্ত ছয়টি রোজা রাখা হয় যেটি শাওয়ালের রোজ নামে পরিচিত ।এটি বিশ্বে সকল মুসলমানরা পালন করে । শাওয়াল মাসের ছয় রোজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ন ।
নবী করীম (স) নিজেও শাওয়াল মাসের রোজা রাখতেন । এটা আামাদের জন্য একটা সওয়াবের কাজও। শাওয়ালে মাসে ফজিলত সম্পর্কে নবী করীম (স) বলেছেন,” যে ব্যক্তি রমজানের সাওম পালন করলো এরপর শাওয়াল মাসে ছয়টি সাওম রাখলো সে যেন সারাবছর রোজা রাখল”। শাওয়াল মাসের রোজার ফজিলত অত্যন্ত বেশি।
এখন আশা যাক শাওয়ালের রোজা আগে না রমজানের ভাঙ্গতি রোজা আগে?
বিশেষ কারণ বশত রমজানে রোজা ভাঙ্গা লাগলে সে ক্ষেত্রে রমজান পরবর্তী সময়ে রোজা রাখার বিধান রয়েছে। তবে কারো কারো এটা জানা থাকে না যে, আগে ভাঙ্গতি রোজা না শাওয়ালে রোজা। শাওয়ালের রোজার ফজিলত বর্ননা করা হয়েছে যে, রমজানের রোজা সম্পূর্ণ করার পর শাওয়ালে রোজা রাখলে সারাবছর রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যাবে।
সেক্ষেত্রে এটা প্রমানিত যে রমজানের ভাঙ্গতি রোজা শাওয়ালের ছয়টি রোজার আগে রাখাই উত্তম।
তবে কিছু কিছু আলেমগন ভিন্ন মত ও পোষন করেন। কেউ কেউ বলছেন শাওয়াল মাসের রোজা শাওয়াল মাসে রেখে তারপর পরবর্তী বছরের যে কোন দিন ভাঙ্গতি রোজা রাখা যাবে।